সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সান্তাহারে লাইন ঘেঁষে নির্মাণাধীন সড়ক পাকাকরণ কাজ বন্ধ রাখতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হলেও তা কর্ণপাত করছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাজ চলমান রেখেছে।
তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, রেল চিঠি দিলেও তারা নীরব থাকায় কাজ চলমান রাখা হয়েছে। আর রেললাইন ঘেঁষে এই সড়কটি পাকাকরণ হলে প্রায়ই প্রাণহানীর মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউআইডিপি-ফেজ-টু) অধীনে সান্তাহার পৌরসভার বাস্তবায়নে সান্তাহার রেলগেট থেকে হার্ভে স্কুল মোড় হয়ে সাইলো সড়ক পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকায় ব্যয়ে সড়কটির পাকাকরণ কাজ শুরু করা হয়।
গত ২২ জানুয়ারি এই কাজের উদ্বোধনের পরদিন থেকেই শুরু হয় খোঁড়াখুড়ির কাজ। কিন্তু সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেট থেকে হার্ভে স্কুলের মোড় হয়ে রেলওয়ে ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তন পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়ক আর রেললাইনের মাঝখানে এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখা হয়নি।
এ কারণে উদ্বোধনের কয়েক দিন পর কাজটি বন্ধ রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি চিঠি দেন রেল বিভাগ। কিন্তু রেলওয়ের এসব নিয়ম নীতিরমালা তোয়াক্কা না করেই পৌর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় রেললাইন ঘেঁষেই সড়কটির পাকাকরণ ও প্রশস্তকরণ কাজ করে যাচ্ছেন দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এভাবেই সড়কের কাজ শেষ হলে এটিই হবে পৌর শহরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক।
রেল লাইনে ট্রেন আর সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারেও বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানান, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। রক্তদহ বিলে সেতু নির্মাণ হলে এই সড়ক ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হবে। ভবিষ্যতের চিন্তা না করে রেললাইন ঘেঁষে এভাবে সড়ক নির্মাণ করা উচিত নয়। যেহেতু পূর্ব দিকে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে সেহেতু রেললাইন ঘেঁষে না করলেও চলে।
সান্তাহার রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশল (কার্য) বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, রেললাইন ঘেঁষে সড়ক পাকাকরণ কাজ বন্ধ রাখতে পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই সাথে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও বিষয়টি অবগত করা হয়। কিন্তু তারপরও নির্মাণকাজ তারা বন্ধ রাখছে না। এবার বিষয়টি শক্তভাবে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
সান্তাহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি মেয়র সাহেব দেখছেন। এ নিয়ে রেলওয়ে খুব বেশি আপত্তি করলে রেললাইন থেকে জায়গা ছেড়ে পূর্বপাশে এগিয়ে পাকাকরণ কাজ করা হবে। তবে কাজ চলমান থাকবে।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, রেল চিঠি দিয়েছে কিন্ত তারা আর কিছু বলছেন না। এজন্য কাজ চলমান রাখা হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।